Header Ads

ঔষধের ভূমিকায় পানি



জীবন বাঁচাতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। খাদ্য ছাড়া মানুষ কয়েক সপ্তাহ বাঁচতে পারে কিন্তু পানি বিনা কয়েক দিনও বাঁচা সম্ভব নয়। তাই রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে শরীরে জৈব রাসায়নিক ক্রিয়ায় অপরিহার্য উপাদান হল পানি।

 বিভিন্ন রোগে পানি 


  • জন্ডিস, জার মূল ঔষধ হচ্ছে পানি। সম্পূর্ণ বিশ্রামের পাশাপাশি যত বেশি পানি পান করা যায়, তত দ্রুত এ রোগ ভালো হয়ে যায়।
  • কিডনি রোগ প্রতিরোধে পানির ভূমিকা ব্যাপক। কারন দেহের দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে কিডনি ভালো রাখতে যথাযথ উপাদান হল পানি।
  • কোস্টবদ্ধতায় যা নিরোধে সকালে খালি পেটে তিন-চার গ্লাস পানি বেশ কার্যকর।
  • বাত রোগ মেটাতে পানি ইউরিক এসিড ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে বের করে দেয়।
  • জ্বর, যা হলে বেশি করে পানি পান করা খুবই জরুরি। পানির সাথে খাবার স্যালাইন মেশালে জ্বর তা সাধারন ডেঙ্গু হলেও শরীরে কোন ক্ষতি করতে পারে না।
  • ক্ষুদামান্দ্য যেখানে খাবার আধা থেকে এক ঘণ্টা আগে পানি পান হজম ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
  • ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হাঁপানি, ত্বকের রুক্ষতা বা বলিরেখা, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যায় বিভিন্নভাবে পানি ফলদায়ক।

 

 

পানি পানের যথার্থ সময়



সকালে শয্যা ত্যাগের পর খালি পেটে পানি পান হল সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। তবে আহারের ১ ঘণ্টা ও ১ ঘণ্টা পর এবং যখন পিপাসা পায় তখনই পান যথার্থ। প্রভাতকালীন তিন-চার গ্লাস পানি পানের পর কিছুক্ষন পায়চারি অথবা হালকা জগিং উপকারী। প্রথম দিকে অধিক পানি পানের ফলে অর্থাৎ চার-পাচবার ঘনঘন প্রসাব ও পাতলা পায়খানা হবে, যা সপ্তাহখানেক পর স্বাভাবিক হয়ে যায়। মনে রাখা দরকার যে, এক সাথে চার গ্লাস পানি পান করতে না পারলে এক গ্লাস পান করে চার-পাঁচ মিনিট পায়চারি করে আবার এক গ্লাস এভাবে ক্রমনয়ে তা করা যায়। তবে সামারথ্যে না কুলালে জোর করে বেশি পান করতে নেই।

পানি পানের নিয়ম  


  • তাড়াহুড়া না করে বরং সুস্থ মনে ধীরেধীরে চুমুক দিয়ে পানি পান করতে হয়।
  • প্রচণ্ড রোদে পথ চলার পর কিংবা অধিক শারীরিক পরিশ্রম করে ঘামারতক অবস্থায় পানি পান করতে নেই।
  • খুব বেশি পিপাসা পেলে একসাথে অধিক পানি পান করা ঠিক নয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগীদের ও একসাথে বেশি পরিমাণে পানি পান ক্ষতিকর। এসব ক্ষেত্রে অল্প করে বারবার পানি পান করা ভাল।

বোতলজাত পানি কি নিরাপদ ?

 

হাজার হাজার ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য গবেষকরা আজ বোতলজাত পানিকে দায়ী করেছেন। একদল গবেষক বলেছেন খনিজ পানি পানের কারনে নানা রকম রোগ হতে পারে। তারা দেখিয়েছেন, এতা থেকে অনেক ক্ষেত্রেই পাকস্থালী উত্তেজিত হয়। কোমল পানীয় কোম্পানিগুলো অবশ্য এ ফলাফল মেনে নিতে নারাজ। অবশ্য কিছু কিছু গবেষকের মতে, বোতল জাত পানি যে নিরাপদ নয় এ তথ্য সত্য নয়। ইংল্যান্ডে প্রতি বছর ৫০ হাজার খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৬ হাজারই হয় বোতল জাত পানি পানের কারনে। একজন বিশেষজ্ঞ গবেষক দেখিয়েছেন, কম্পাইলব্যাকটির নামক জীবাণু ঘটিত সংক্রামনের জন্য পেটে ব্যথা কিংবা মৃদু ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে কিন্তু কখনো কখনো এটা তীব্র এবং মারাত্মক হয়েও উঠতে পারে। ওই গবেষক মনে করেন বোতল জাত পানিও যে একটা বিপদের উৎস হতে পারে নিজের স্বার্থেই এটা জেনে রাখা দরকার।



No comments

Powered by Blogger.